প্রকাশিত: Mon, Apr 1, 2024 1:32 PM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 4:12 AM

ছাত্রদের রাজনীতি করা এবং রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন থাকা নিয়ে আলোচনাটাই এখন জরুরী

শওগাত আলী সাগর: ১. বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কী নিয়ে- বোঝার চেষ্টা করছিলাম। পত্রিকার খবর পড়ে যতোটুকু মনে হলো- (ক) ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা রাতে হলে ঢুকেছেন, (খ) তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড (ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড) পরিচালনা করেছেন। 

২.‘রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে’ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা ঢুকতে পারবে না-  এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছিলো কিনা, তা নিশ্চিত হতে পারিনি। বুয়েটে কি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কোনো সময়ে! তা হলে এটা অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে কেন!

৩. ছাত্রলীগের এই নেতারা কী ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছে? তারা কী সেখানে মিছিল করেছে? সভা করেছে? না কি নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করেছে? -এই তথ্যগুলো খুঁজে পাইনি। 

৪. আবরারের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ছাত্রলীগকে কালিমালিপ্ত করেছে- এটা বাস্তবতা। আবরার হত্যায় জড়িতরা গ্রেফতার হয়েছে, আদালত শাস্তির রায় দিয়েছেন। সেই রায় যাতে যথাযথভাবে কার্যকর হয়- সেদিকে মনোযোগ রাখা জরুরী। কেউ এখনো গ্রেফতার না হয়ে থাকলে তাদের গ্রেফতারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা দরকার। 

বুয়েটে এখন যাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে- তারা কী কোনোভাবে আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো! তা না হলে তারা হল, ক্যাম্পাসে যেতে পারবে না কেন!

৫. বুয়েটের শিক্ষার্থীরা কি ছাত্র রাজনীতি বন্ধ রাখার পক্ষে না কি বুয়েটে ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধের পক্ষে!

৬.বুয়েট পরিস্থিতি ধরে বাংলাদেশের ছাত্রদের রাজনীতি করা, রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন থাকা নিয়েই বরং আলোচনা হতে পারে। আমার তো মনে হয়, সেই আলোচনাটাই বরং জরুরী।